কোটা আন্দোলন আপডেট: থাকছে না সরকারি চাকরিতে কোটা !
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিটা নতুন কথা নয়। কোটা আন্দোলন ছিল আছে থাকবে। BCS Prepare সব সময় কোটা আন্দোলন আপডেট দিয়ে থাকেন। অনেক আগে থেকে সেই ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের কোটা পদ্ধতি চালু। বাংলাদেশ স্বাধীন এর আগেও ছিলো এদেশ কোটা ব্যবস্থা। ১৯৭২ সালে কথা চিন্তা করলে দেখতে পারবেন সরকারি চাকরিতে কোটা ছিলো ৮০ শতাংশ এবং মেধাবীর কোটা ছিলো ২০ শতাংশ। কোটা ইতিহাস নিয়ে আজকের আলোচনা হলো কোটা সংস্কার একাল সেকাল।
কোটা আন্দোলন আপডেট এবং চুড়ান্তু বিন্যাস
BCS পরীক্ষা কোটা ২০২৪ সালের সংস্কারের পূর্বে যা ছিলো
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা
মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ শহীদ এবং হাজারো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের কথা চিন্তা করে যুদ্ধ পরবর্তী কালে এদেশে সকল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা – ৩০ শতাংশ (মূল কোটার ১০০ জনের ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং পরে পরবর্তী প্রজন্মদের (মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনীদের) জন্য রাখা হয় )।
সরকারি চাকরিতে বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কোটা
বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কোটা বাতিল আন্দোলন) পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত এর রায় অনুযায়ী।
বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কোটা- ৫ শতাংশ
(মূল কোটার ১০০ জনের ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য শুধু মাত্র। কিন্তু এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২০২৪ সালের এই আদালতের পূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান পরে পরবর্তী প্রজন্মদের (মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনীদের) জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান পাবে কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মদের (মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনীদের) আর পাবে না।
বাংলদেশ সিভিল সার্ভিস সরকারি চাকরিতে নারী কোটা
নারী উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য নারী অগ্রাধিকার কোটা ছিলো- ১০ শতাংশ (মূল কোটার ১০০ জনের ১০ জন নারী)।
বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কোন নারী অগ্রাধিকার কোটা থাকছে না। শুধু বিসিএস এ নয় সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণিতে আর নারী অগ্রাধিকার কোন কোটা থাকছে না।
সবার আগে কোটা আন্দোলন আপডেট পেতে ভিজিট করুণ www.bcsprepare.com এবং কোটা আন্দোলন আপডেট খবরা খবর পাবেন বাংলাদেশ বিষয়বলিতে ।
BCS জেলা কোটা
পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে জেলা কোটা ব্যবস্থা করা ছিলো। যার পরিমাণ ছিলো মূল কোটায় জেলা অগ্রাধিকার কোটা – ১০ শতাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সহ সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণিতে জেলা অগ্রাধিকার কোন কোটা থাকছে না।
BCS এ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা
পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী জীবন মান উন্নয়ন এবং তাদের অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে বিসিএস তথা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে রাখা হয়েছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা যার পরিমাণ ছিলো
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অগ্রগতি কোটা – ৫ শতাংশ।
কিন্তু এখন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অগ্রগতি কোটা থাকছে মূল কোটার ১০০ শতাংশের ১ শতাংশ অর্থাৎ ১০০ জনের ১ জন। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সহ সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণি ক্ষেত্রে।
BCS এ প্রতিবন্ধী কোটা
যাতে কোন প্রতিবন্ধী পিছিয়ে না থাকে তাই প্রতিবন্ধী কোটা রাখা ছিলো। দেশের সাংবিধানিক অধিকার হিসাবে নাগরিক হিসাবে দেশের সকল মৌকিক অধিকার পাবার অধিকার সবার আছে। প্রতিবন্ধী হিসাবে তারাও তাদের জীবন মান উন্নয়ন এবং সকল জনতার সাথে তাদের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা রাখা ছিলো:-
প্রতিবন্ধী অগ্রাধিকার কোটা – ১ শতাংশ।
বর্তমানে এই কোটা এখন শুধু প্রতিবন্ধী কোটা নয় এখন প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ইতাদি।
২০২৪ সালের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পূর্বে এদেশের সকল মেধাবীর সরকারি চাকরির জন্য লড়তো সব মিলিয়ে ৪৪ শতাংশতে অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে কোটা ভিত্তিতে ছিলো ৫৬ শতাংশ আর মেধায় ৪৪।
কিন্তু ২০২৪ সালের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর এখন সকল কোটায় যা থাকছে তা হলো
- মুক্তিযোদ্ধা কোটা- ৫ শতাংশ
- প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ- ১ শতাংশ
- ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অগ্রগতি কোটা – ১ শতাংশ
- সর্বমোট কোটা = ৭ শতাংশ এবং
- মেধায় ৯৩ শতাংশ
বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সহ সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণিতে আর এই কোটা বিন্যাস পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে হলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বলা হয়েছে।
BCS Preparation পর্বে আপনাদের সাথে সবসময় ছিলো BCS Prepare নির্ভুলতার প্রতীক হয়ে আগামীতে থাকবে। BCS Prepare সবসময় আপডেট নিউজ প্রকাশ করে সকল আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।