Table of Contents
Toggleউপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন
জানা-অজানা পর্বে আজ আমরা জানবো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত-হোসেন (M Sakhawat Hossain) এর সম্পর্কে। মাননীয় একজন গুণী সামরিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, লেখক, বিচক্ষণ মানুষ। আজকে তার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো। চলুন এই গুণী ব্যক্তির সম্পর্কে জেনে আসি।
সাখাওয়াত হোসেনের পরিচয়
মাননীয় উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে বরিশাল জেলায়। তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় তেজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাধমে। তিনি খুব বিচক্ষণ এবং খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। শিক্ষা জীবন এ স্নাতক, কৌশলগত শিক্ষায় স্নাতকোত্তর তার বিশেষ অর্জন। মাননীয় উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত-হোসেনের জীবনসঙ্গী হলেন লে: কর্ণেল (অব) ডা: রেহানা খানম। এম সাখাওয়াত হোসেন এবং লে: কর্ণেল (অব) ডা: রেহানা খানমের দুই ছেলে তারা হলেন এম কায়সার হোসেন ও এম সাফাক হোসেন। এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সেই সাথে অবসরের পরে তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কশিনার ও ছিলেন। তিনি একাধারে লেখক(বেশ কিছু বই লিখেছেন তিনি), নিয়মিত জাতীয় পত্রিকায় কলামলিস্ট লিখে থাকেন, বক্তা, জাতীয় টিভি চ্যানেল গুলোতে টকশোতে অংশগ্রহণ করতেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষা জীবন
এম সাখাওয়াত-হোসেন তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন তেজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। এবং সাখাওয়াত-হোসেন তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন করাচি থেকে ১৯৬৩ সালে। সেই সাথে করাচির ইসলামিয়া বিজ্ঞান কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন। সাখাওয়াত হোসেন “আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ” হতে “করাচি বিশ্ববিদ্যালয়” অধ্যায়ন শেষ করে তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ছিলেন। সাখাওয়াত হোসেন ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ, কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেনের কর্ম জীবন
আমরা জানি, এম সাখাওয়াত-হোসেন ছিলেন একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল), তিনি একজন বুদ্ধিজীবী, লেখক ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনারের সাবেক নির্বাচন কমিশনার।
সাখাওয়াত-হোসেন “আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ” হতে “করাচি বিশ্ববিদ্যালয়” অধ্যায়ন শেষ করে তখন সেখানে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং তিনি পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ছিলেন ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। দেশ স্বাধীনের পরে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদেন মেজর পদে কুমিল্লা সেনানিবাসে এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তার কর্মজীবন শেষ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নিত হওয়ার পর।
সেই সাথে দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের (সোনালি ব্যাংক) পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন ২ বছর। এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক হিসাবে কাজ করেন। তিনি খুব ভালো নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ছিলেন এবং নিয়মিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কলাম লিখতেন।
সাখাওয়াত হোসেন শুধু একজন সাময়িক ব্যক্তিই ছিলেন তাই নয়, তিনি যার দক্ষতা মেধা এবং শিক্ষা দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠার সাথে। সেই সময় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এ.টি.এম. শামসুল হুদা।
সাখাওয়াত হোসেন শুধু একজন সাময়িক ব্যক্তি বা নির্বাচন কমিশনার ছিল তাই নয়। তিনি একজন গুণী লেখক ও ছিলেন। তিনি খুব ভালো নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ছিলেন এবং নিয়মিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কলাম লিখতেন। তার ঝুলিতে তার নিজের লেখা ২০ টির ও বেশি বই আছে।
সাখাওয়াত হোসেন উপদেষ্টা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধমে ৫ই আগস্ট সাবেক বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যেগের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস (গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং আন্তর্জাতিক নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত)। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস তার কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য আরও ১৭ জন কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত করেন (বর্তমানে উপদ্রেষ্ট মণ্ডলী ২০ জন প্রায়)। তার মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন একজন। সাখাওয়াত হোসেন এর সফল কর্মজীবন নৈতিকগুণাবলী ইত্যাদি কারণে হয়তো তাঁকে উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা দায়িত্ব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা হিসাবে তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন ২টা মন্ত্রণালয়ের তা হলো:
- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (এই মন্ত্রণালয়ের পূর্বের মন্ত্রী ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, এমপি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা হিসাবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৮ই আগস্ট ২০২৪ইং তারিখ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা সকলকে শপথ পাঠ করান বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
বি: দ্র: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রথমে ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন কিন্তু পরে ছাত্রদের তোপের মুখে তাঁকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দেয়া হয়।
বর্তমান এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:)।
- নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ।
বর্তমানে মাননীয় সাখায়াত হোসেন উপরোক্ত ২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রশ্নোত্তর
সাখাওয়াত হোসেন কোন দলের?
অন্তর্বর্তী সরকার এর মাননীয় উপদ্রেষ্ট্রা সাখাওয়াত হোসেন কোন রাজনৈতিক দলের না। তিনি একজন সাদা মাটা মনে মানুষ।
সাখাওয়াত হোসেনের পেশা কী ছিলো?
তিনি পেশায় ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা, সাময়িক ব্যক্তিত্ব, একজন লেখক সেই সাথে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন ও করেছেন। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদ্রেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকার কাকে বলে?
অন্তর্বর্তী সরকার হলে একটি অস্থায়ী সরকার। যা গঠিত হয় কিছু সময়ের জন্য দেশ পরিচালনার উপদেশ প্রদানকারি হিসাবে। যা একটি জাতির ক্লান্তি কালে গঠিত হয়ে জাতির জন্য একটি সুষ্ট এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রে পরিণত করে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অন্তর্বর্তী সরকার বিলীন করে দেয়া হয় বা ভেঙ্গে দেয়া হয়।
BCS Prepare সবসময় আপনাদের সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে আশা করি আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকবে। সরকারি চাকরি সংক্রান্ত খবরা খবর পেতে BCS Prepare এর চাকরি খবর দেখুন।