Table of Contents
Toggleকম্পিউটার ইতিহাস এবং কম্পিউটার আবিষ্কার
আজকে আমার যার মাধ্যমে পৃথিবী ডিজিটাল করেছি তার কিন্তু মূলেই হলো এই কম্পিউটার। কম্পিউটার ইতিহাস খুঁজে দেখলে জানা যায় যে এই আজকের কম্পিউটারের জন্য পরিশ্রম করেছ অনেক বিজ্ঞানী। আজকে কম্পিউটার ইতিহাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সাধারণ গণনা যন্ত্র
কম্পিউটার যে এক বিষ্মকর আবিষ্কার হয়ে উঠবে তা চার্লস ব্যাবেজ এবং হেনরি ব্যাবেজ মনে হয় জানত না। কারণ প্রথমে তো কম্পিউটার কে একটি গণনা যন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হতো। কালের বিবর্তনের প্রযুক্তির প্রসারণে এখন কম্পিউটার এক আশ্চর্য নাম। সমুদ্রের নিচে থেকে শুরু করে মহা বিশ্ব এখন কম্পিউটারের মাধমে পড়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয় কম্পিউটারের মাধমে একজন ডাক্তার বিদেশে বসে কম্পিউটারের মাধমে চিকিৎসা দিচ্ছে নির্ভুল ভাবে। শুধু কী তাই? এখন যদি আর্টিফিসিয়াল সিস্টেম কে বলা হচ্ছে কোন রুগীর কোন রোগ হয়েছে তা নির্ণয় করতে। খুব সহজে নির্বুলতার সহিত তা নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছে।
কম্পিউটারের উৎপত্তি ইতিহাস
Computer শব্দটি আবিষ্কার হয়েছে গ্রিক শব্দ Compute হতে। যার অর্থ দাড়ায় হিসাব করা বা গণনা করা। কারণ প্রথমত এই কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধু গণনা করা হত। পরবর্তী সময় এই কম্পিউটার নিয়ে নানান গবেষণা করে আর কার্য ক্ষমতা এবং এর ব্যবহার বহু ব্যবহার করা হয়েছে। এই দিনের চিন্তা ধারা এখন মানুষকে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যায় এক মিনিটেই।
আমরা তো কম্পিউট শব্দের অর্থ জানলাম। এখন জানব computer শব্দের অর্থ কী? কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী এক কথায় যে গণনা করে। কম্পিউটার এখন তো বিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আমরা যে ইন্টারনেটের কথা বলছি এই ইন্টারনেট আবিষ্কারও কিন্তু এই কম্পিউটার এর মাধ্যমেই করা হয়েছে।
কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিকথা
কম্পিউটার ইতিহাস খুবই পুরনো ইতিহাস। এই কম্পিউটার ইতিহাস জানতে হলে আপনাকে যেতে হবে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিসরে বা চীনে। কারণ প্রথম ধাপেই আজকের এই কম্পিউটার আসেনি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিসরে বা চীনে প্রথম একটি গণনা যন্ত্র আবির্ভাব ঘটে। এই আবির্ভাবে আবির্ভূত ঘটে অ্যাবাকাস (অ্যাবাকাস হলো একটা গণনা যন্ত্র। কাঠের দুটা তক্তার উপরে দুই প্রান্তে লম্বা লম্বি ভাবে সেদ করা ছোট বল আকৃতির পাথরে ছিদ্র করে তা লোহার লম্বা পেরেকের মাঝে ঝুলানো হত। এবং এই পাথর টুকরোকে গণনা কাজে ব্যবহার করা হত। এটাই ছিলো অ্যাবাকাস)। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানী ব্রেইজ প্যাসকেল ১৬৪২ সালে যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন। যা ছিলো যান্ত্রিক ক্যালকুলেটরের যুগে প্রথম আবিষ্কার। এই যান্ত্রিক ক্যালকুলেটরের আবিষ্কারের পথ ধরেই ১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটরের আবির্ভাব ঘটাই। যা ছিলো চাকা ও দণ্ড যুক্ত এবং এর মাধ্যমে গুণ ও ভাগ ইত্যাদি করা যেত। যা ছিলো বিগত ক্যালকুলেটরের চেয়ে উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর।
এর পরবর্তীতে উনিশ শতকে আবিষ্কার করেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন নামে একটি আধুনিক যন্ত্র যা আবিষ্কার করেন চার্লস ব্যাবেজ। এবং এই ডিফারেন্স ইঞ্জিনই ছিলো কম্পিউটার আবিষ্কারের নতুন ধারণার কর্ণধার। এবং ব্যাবেজ তার আবিষ্কার ব্যাপক ভাবে প্রচার করেন। সবাই জানতে পারে তার প্রতিভার কথা এবং এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু হয়।
সেকালের IBM কোম্পানির নাম কে না জানে? তাইনা? জি আপনারা যে IBM এর কথা ভাবছেন এইটাই সেই বিখ্যাত IBM কোম্পানি। যাকে বলা হয় কম্পিউটারের কারিগর। IBM এর পূর্ণরূপ হলো International Business Machine যাকে সবাই IBM নামেই চেনে। এই বিখ্যাত আইবিএম হাওয়ার্ড আইকেন এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় সাধারণ ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল ডিজিটাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। এই স্বয়ংক্রিয় সাধারণ ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল ডিজিটাল কম্পিউটার আবিষ্কারে কাজ করেন উক্ত কোম্পানির চার চার জন ইঞ্জিনিয়ার। চার চার জন ইঞ্জিনিয়ার এর প্রচেষ্টায় যে কম্পিউটার সাফল্যের মুখ দেখে তার নাম হলো Mark-1। Mark-1 আবিষ্কারের বছর টা ছিলো ১৯৪৪ সাল। বিশ্ব দেখলো একটা স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার। শুরু হলো আরও একটা বিস্ময়কর আবিষ্কার।
আপনি যদি কম্পিউটারের সাইন্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন তাইলে কিন্তু আপনাকে কম্পিউটার ইতিহাস জানতে হবেই। আর আপনার জন্যই BCS Prepare শুধু কম্পিউটার ইতিহাস বা কম্পিউটার সকল বিষয় নয় রেখেছে আরও নানা বিষয় জানার সুযোগ। তাই বিসিএস prepare এর সাথেই থাকুন। জানুন এবং জানান।
IBM তো স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার করে তাক লাগিয়েই দিল তা দেখে হয়তো বসে থাকতে নারাজ ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন। যার ফলে ১৯৭১ সালে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক আবিষ্কার করেন। কম্পিউটারের মস্তিষ্ক টা কী তা তো আমরা জানি তাইনা? হা ঠিক ধরেছেন। কম্পিউটার এর মস্তিষ্ক হলো প্রসেসর। ইন্টেল কর্পোরেশন সর্বপ্রথম মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার করে। যার বলে কম্পিউটারের আকার- আয়তন ছোট হয়ে আসে। সেই সাথে কাজের ক্ষমতায় আসে এক বিশাল পরিবর্তন। দ্রুত গতিতে হাজার হাজার কাজ সম্পূর্ণ করা যায়। এই মাইক্রোপ্রসেসরের আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ডিজিটাল কম্পিউটারের পদ যাত্রা।
আবিষ্কার হলো পার্সোনাল কম্পিউটার, আবিষ্কার হলো ল্যাপটপ ধাপে ধাপে ট্যাবলেট আসলো মোবাইল ফোন। সব কিন্তু এই মাইক্রোপ্রসেসর এর কারিশ্মা। দিন যাচ্ছে প্রসেসর, চিপ ছোট হচ্ছে আর কম্পিউটার এর কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাছে অন্য দিকে আকারে ছোট হয়ে আসছে। অতকিছুর পেছনে কিন্তু আজও সরন করা হয় চার্লস ব্যাবেজকে। কারণ তিনি মানুষকে ভাবনার জায়গা তৈরি করে দিয়েছিলেন। যার কারণে চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
কম্পিউটার প্রকারভেদ
কম্পিউটার দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। সকল কিছু বিবেচনা করে প্রকারভেদ করা হয়েছে। কম্পিউটারের প্রকারভেদ করা হয়েছে আকার, আয়তন, গঠন, কর্মক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্য এর উপরে ভিত্তি করে। যেমন:
কম্পিউটারের গঠন ও বৈশিষ্ট্যের বিচারে কম্পিউটার ৩ প্রকার।
- এনালগ কম্পিউটার।
- ডিজিটাল কম্পিউটার
- হাইব্রিড কম্পিউটার।
কাজের দক্ষতা, ক্লান্তিহীনতা, নির্ভুলতা ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনা করে এই প্রকারভেদ নির্বাচন করা হয়েছে। অ্যানালগ কম্পিউটারের চেয়ে ডিজিটাল কম্পিউটারের কর্ম ক্ষমতা বেশি এবং কর্মের ফলাফল তুলনা মূলক নির্ভুল। আবার ডিজিটাল কম্পিউটারের চেয়ে হাইব্রিড কম্পিউটার এর দক্ষতা কর্মক্ষমতা নির্ভুলতা ইত্যাদি অনেক স্ট্রং।
কম্পিউটার ইতিহাস খুলে দেখা যায় আকার-আয়তন এবং ব্যবহারের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়।
- সুপার কম্পিউটার।
- মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
- মিনি কম্পিউটার।
- মাইক্রো কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার আকারে সবচেয়ে বড় কম্পিউটার এবং কর্মদক্ষতাও হাই পাওয়ার। মেইনফ্রেম কম্পিউটার সুপার কম্পিউটারের ন্যায় কাজ করে। কিন্তু এদের আউটপুট প্রদানের ধরনটা আলাদা। মিনি কম্পিউটার মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে বড় কিন্তু মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে আকারে ছোট। মাইক্রো কম্পিউটার মিনি কম্পিউটার এর চেয়ে আকারে ছোট। এবং আর প্রসেসর সিপিইউ হিসাবে কাজ করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ।
আমার এখন যে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করছি তা হলো মাইক্রো কম্পিউটারের প্রকার ভেদ।
কম্পিউটার সম্পর্কে MCQ পড়তে ভিজিট করুণ BCS Prepare এর Computer Corner পেজ এ।